Saturday, September 26, 2020

অবাক করা কিছু তথ্য.....!

কিছু অবাক করা তথ্যঃ

 

1) অক্টোপাসের দেহে তিনটি হৃদপিণ্ড আছে।
2) আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, আপেলের ৮৪ ভাগই জল।
3) এ মাত্র যিনি কলা খেলেন তার প্রতি মশার আকর্ষণ বেশী ।
4) এক কাপ কফিতে ১০০-এরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ আছে।
5) এক ঘণ্টা চুইংগাম চাবালে শরীরে ৩০ ক্যালরি তাপ ক্ষয় হয়।
6) গরুকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে পারে কিন্তু নিচে নামতে পারে না ।
7) চিংড়ি শুধু পিছনের দিকে সাঁতার দিতে পারে।
8) চোখ খোলা রেখে ব্যাঙ কোন কিছু গিলতে পারে না।
9) জলের হাতি বা জলহস্তি জলের নিচে ৩০ মিনিট দম বন্ধ করে থাকতে পারে।
10) যখন চাঁদ সরাসরি আপনার মাথার উপর, তখন আপনার ওজন সবচেয়ে কম।
11) ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।
12) মানুষের মতোই শিম্পাঞ্জিরাও হ্যান্ডশেক করে ভাব বিনিময় করে!
13) এক পাউন্ড বিশুদ্ধ তুলা থেকে ৩৩ হাজার মাইল লম্বা সুতা তৈরি সম্ভব !
14) পিঁপড়ার ঘ্রাণশক্তি কুকুরের চেয়ে বেশী।
15) পেঙ্গুইন একমাত্র পাখি যে সাঁতার কাটতে পারে কিন্তু উড়তে পারেনা।
16) পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।
17) পৃথিবীতে যত লিপস্টিক আছে, তার বেশির ভাগই তৈরি হয় মাছের আঁশ দিয়ে।
18) প্রজাপতির চোখের সংখ্যা ১২ হাজার ।
19) ফড়িংয়ের কান হাঁটুতে!
20) মাছেরও কাশি হয়।
21) মৌমাছির চোখ পাঁচটি।
22) মশার দাঁত ৪৭ টি।
23) শামুক পা দিয়ে নি:শ্বাস নেয়। শামুকের নাক চারটি ।
24) শরীরের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে কচ্ছপ।
25) হাতি একমাত্র স্তন্যপায়ী, যারা লাফ দিতে পারে না।
26) গড়ে একজন মানুষের চোখ বছরে ৪২ লাখ বার পলক ফেলে।
27) মানবদেহে সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন্ত কোষ হলো মস্তিস্কের কোষ (নিউরন)।
28) হাতের নখ, পায়ের নখের চেয়ে চারগুন দ্রুত বাড়ে।
29) মানবদেহের মোট হাড়ের ১/৪ অংশ পায়ে অবস্থিত ।
30) আপনি চোখ খুলে কখনোই হাঁচি দিতে পারবেন না। বিশ্বাস না হলে এক্ষুণি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
31) আপনি কখনো আপনার কনুই কামড় দিতে পারবেন না । চেষ্টা করে দেখুন!
32) গ্যালিলিও দূরবীন আবিষ্কার করার। আগে মানুষ খালি চোখে আকাশে মাত্র পাঁচটি গ্রহ দেখতে পেতো ।

33) আমরা তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাই। কিন্তু আমরা জানি কি এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির জল খরচ করতে হয়।

Thursday, September 17, 2020

This is Law of natural selection

This is Law of natural selection



রেজাউল স্যারকে চিনতাম। হোস্টেলের পুকুর ঘাটে বসে বিড়ি টানত আর বলত :: বুঝেছ রব, নিজের চেয়ে কাউকে ভালবেস না, মেয়েরা ফেন্সিডিলের মত। একবার মায়ায় পড়েছ তো নিজেকে শেষ করেছ।

৪৩ বছর বয়সে স্যার তখনও বিয়ে করেননি। নিজ গ্রামের এক মেয়েকে ভালবাসতেন। রাজশাহী ভার্সিটিতে পড়ার সময় মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়। স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে সহ মেয়েটা এখন প্রায় মধ্যবয়সী। মাঝে মাঝে রাতে ঘুরতে বের হতাম। একটা ছোট্ট গোল আলো অন্ধকারে উঠানামা করলেই বুঝতাম স্যার একা বসে বিড়ি খাচ্ছে। কাছে ডেকে গল্প করতেন। প্রায় দিন ঐ মেয়েটার গল্প শুনতাম। একটি বাগানের গল্প, কান্নাকাটির গল্প। ভাবতাম এতকাল পরে একটি মেয়েকে মনে রাখার মত মানুষ ও আছে তাহলে। মেয়েটার সংসার হয়েছে, বাচ্চা হয়েছে।

 শুধু স্যারের কিছু হয় নি। বিড়ি টানে আর উদাস হয়ে ধোয়া ছাড়ে। প্রচন্ড ঝড়ের রাতেও দেখেছি পুকুর ঘাটে একা একা বসে বিড়ি টানছে।

 এক ঝড়ের রাত্রে উনাকে সাপে কাটল। গিয়ে দেখি রক্ত ঝরছে, গোড়ালির উপর থেকে।। ঠান্ডা মাথায় আমাদের বললেন:: সাপ আমি দেখেছি, গোখরা সাপ। এখন আমাবস্যা, বিষ থাকার কথা। তোমরা অযথা আমাকে নিয়ে টানাটানি করো না। আমরা টানাটানি করেছিলাম এবং সে যাত্রায় উনি বেচে গিয়েছিলেন। এই অসম্ভব দু:খী মানুষটি আমাদের অনেকের কাছে ছিল দার্শনিকের মত। উনার কিছু কথা আজীবন মনে রেখেছি। উনি প্রায় বলতেন: প্রকৃতি সবচেয়ে ফিট প্রজাতিকে বেছে নেয়, আনফিটকে বিলুপ্ত করে দেয়। স্ত্রী হায়েনা সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষ হায়েনা টিকে বেছে নেয় যে তার জন্য আর সব পুরুষের সাথে যুদ্ধে জিতে আসতে পারে। কোন মেয়ে তোমার চেয়েও ভাল কাউকে যদি বেছে নেয় তো একটুও দু:খ পেও না। এটা তাই যা প্রকৃতির আর দশটা প্রজাতির মধ্যে ঘটে থাকে। " This is Law of natural selection".

 তাই যখন দেখি কোন মেয়ে তার বহু পুরানো প্রেমের খ্যাতায় আগুন লাগিয়েছে বা নতুন কাউকে বেছে নিয়েছে, আমি একটুও অবাক হই না। সঙ্গী নির্বাচনে সমগ্র প্রাণী জগতে একটি দুর্বোধ্য স্বার্থপরতা আছে। এই স্বার্থপরতা আসলে স্ত্রী জাতীয় প্রাণীদের মধ্যে বেশি। কোন দয়ামায়া ছাড়াই এরা সবচেয়ে ভাল পুরুষ সংগী টি বেছে নেয়। আমি অবাক হই ছেলেদের রিএকশন দেখে।

 একটা সম্পর্ক যখন ভেংগে যায়, মেয়েটা হাউ মাউ করে কাঁদে। সে জানে না এই হাউমাউ কান্নাটা তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে, তাকে ভুলতে শিখিয়েছে। সে ভুলতে শুরু করে। মেয়েদের ভালোবাসায় 'All or none Law' ব্যাপার থাকে।

কাউকে ভালবাসলে সমগ্র প্রান দিয়ে ভালবাসে, কোন কারনে তাকে ঘৃনা করলে স্বর্বস্ব দিয়ে ঘৃনা করে। আপন পরের ব্যাপারটায় চরম ধরনের নিষ্ঠুরতা থাকে।

 ছেলেটার জন্য এগুলো খুব সহজ নয়। ব্রেক আপের রাতে সে খুব শান্তিমত ঘুমায়। সকালে হাই তুলতে তুলতে বলে ওর সাথে আমার ব্রেক আপ হয়ে গেছে। নিজেই নিজেকে বলে ' কিচ্ছু হবে না', 'ও রকম মেয়ে কত আছে!' তারপর একটু একটু করে তার খারাপ লাগে। প্রতিদিনের অভ্যাসগুলো তাকে কষ্ট দেয়। রাত এলে ফোনের পুরানো

মেসেজ গুলো তাকে পোড়ায়। খুব ধীরে সে বুঝে ফেলে জীবনের একটি অংশ সে হারিয়ে ফেলেছে, যাকে ছাড়া সে অচল। হারানো মানুষ টাকে ফিরে পেতে সে তখন যুদ্ধ শুরু করে, তবে দেরি হয়ে যায়। ততদিনে মেয়েটার কাছে সে অচেনা কেউ। হতাশা আকড়ে ধরে তাকে। সিডেটিপের ডিব্বা তার আশ্রয় হয়ে যায়। নিজের প্রতি বেখেয়ালে কখন যে বনমানুষ হয়ে যায় বুঝতে পারে না। হাউমাউ কান্নাটা মানুষের শেষ আশ্রয়। বিধাতা এটিও তাকে দেয় নি। কিছুদিন আগে প্রায় মাঝরাতে একটা ছেলে এসেছিল আমার কাছে ( ইমার্জেন্সিতে)। প্রায় বদ্ধ নেশাখোর। হাতের কোথাও ইনজেকশন দেয়ার শিরা নাই। সব শিরায় সে নিজে ইনজেকশন দিয়েছে। ঢাকা ভার্সিটিতে পড়ার সময় মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে পরিচয়। তারপর প্রেম, অত:পর ব্রেক আপ। ঘটনা ২০১১ সালের। প্রবাসী একটি ছেলেকে বিয়ে করে স্বামী বাচ্চা নিয়ে ভালোই আছে মেয়েটি। শুধু এই পাগলটার রাত কাটে না। মাঝে মাঝে ইমার্জেন্সি তে দেখা যায়। ছেলেটার বাবা ব্যাবসায়ী। ভদ্রলোক প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল:: স্যার ওর বিয়ে ঠিক করেছি। তার পর থেকে আবার শুরু করেছে। কিছুদিন ভালছিল। সেনাবাহিনীর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এ চাকুরী দিয়েছি। এরকম করলে চাকুরীটাও চলে যাবে।

ছেলেটাকে দেখে বহুদিন আগের রেজাউল স্যার কে মনে পড়ল। মানুষ তাহলে এমনও করে!! ভালবাসায় পাপ কতটুকু জানি না, তবে প্রায়াশ্চিত্ত অনেক বড়। ভালবাসা কাউকে কাউকে ঋনী করে ফেলে , আর কেউ কেউ সেটা জীবন দিয়ে শোধ করে।

সস্তা ভালবাসার যুগে মানুষ ভালবাসে একজনকে, আর প্রেমে পড়ে দশ জনের। এগুলোর নাম দিয়েছে ক্র্যাশ। ভালবাসা ছুটে গেলে এগুলোর দিকে হাত বাড়ায়। এই ক্র্যাশের যুগেও আপাত কঠিন কিছু মানুষ থাকে। এরা lock সিস্টেমে ভালবাসে। শুধু বাসতেই জানে, ভুলতে শিখে না। এরা হয়ত দার্শনিক হয়ে যায়, নয়ত মাঝ রাতে হুটহাট করে ইমার্জেন্সিতে চলে আসে।

-ডাঃ আব্দুর রব

 

আফসোস এই সমাজের প্রতি....!

আফসোস এই সমাজের প্রতি....!




অবাক হলাম যখন ফার্মেসি থেকে‌ স্যানিটারি

ন্যাপকিন এর বদলে মেয়েটি কনডম কিনলো!

আমি প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে মেয়েটার পিছু নিলাম। কৌতূহল মেটাতে তাকে ডাক দিলাম।

"বোন শুনছেন?? "

"বলেন ভাই ?? "

"একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করবো?"

মেয়েটা হেসে জবাব দিলো,

" আমি জানি আপনি কি জিজ্ঞাসা করবেন,

একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রইলাম,

মেয়েটা নিজের থেকেই বললো,

"আমার বাবা অথর্ব,সড়ক দুর্ঘটনায় দুটি পা হারিয়ে ঘরের এক কোণে পড়ে আছেন, মা টুকটাক সেলাই জানেন, কিন্তু তা দিয়ে কি সংসার চলে? ছোট

দুটো ভাই বোন আছে, ওদের পড়ার খরচ,

দৈনন্দিন জীবনের খরচ, অনেক ভেবে চিন্তে আমি চাকরি খুঁজতে থাকি, কোনোমতে অনার্সটা শেষ করি, একটা চাকরিও পেয়ে যাই, তবে সমস্যা হলো

অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত

হয়ে যায়,

সেদিন আমার এক কলিগ অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল জানোয়ারের কাছে ধর্ষিত হয়,

হতে পারে,সেই জানোয়ারদের পরবর্তী শিকার আমি

তাই, প্রটেকশন নিয়ে রাখছি সাথে,ওই যে বলে না? ধর্ষণ যখন সুনিশ্চিত তা উপভোগ করাই শ্রেয়?"

আমি বললাম,

"বোন দেশে আইন বলে কিছু আছে,

সে তড়িঘড়ি করে বলে উঠলো,

"ভাগ্যিস মনে করিয়ে দিলেন! বলতে ভুলে গেছিলাম, আমার কলিগ পুলিশের কাছেও গিয়েছিলো,শুনেছি, উনিও কুপ্রস্তাব দিয়ে বসেছেন

বাপ মরা মেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের

কথা ভেবে গলায় দড়িও দিতে পারছে না

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম,

মেয়েটি শান্ত গলায় বললো, "কখনো যদি আমার এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তবে আমি উপভোগই করবো, কারন এই সুশীল সমাজ ধর্ষককে

নয়, ধর্ষিতাকে অপরাধীর চোখে দেখে

আর আমি তো সমাজের নিয়ম অমান্য করে

চলি, চাকরি করি, রাত করে বাড়ি ফিরি, এ জাতীয় মেয়েরাই ধর্ষণের শিকার হয়,এদের জন্য সমাজ ধর্ষককে দায়ী করবে না,আমার ওপর আমার মা-

বাবার ভালো থাকা আর আমার ভাই-বোনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আছে, আমাকে যে আরো অনেক দিন বাঁচতে হবে ভাই! ভালো থাকবেন,

লক্ষ্য করলাম মেয়েটার চোখের কোণায়

জল চিকচিক করছে সে মলিন হেসে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো,

আমি ঝাপসা চোখে তাঁকিয়ে রইলাম তার চলে যাওয়ার দিকে...

প্রশাসন এবং আইনের প্রতি দিন দিন মানুষের বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে...দেশের প্রচলিত বিচার ব্যাবস্থা সব দিকে এমনি এখন!

আফসোস এই সমাজের প্রতি....!



সত্যিকারের ভালোবাসা গুলা হয়তো এমনি হয়.....!

সত্যিকারের ভালোবাসা গুলা হয়তো এমনি হয়.....!



রিক্সায় গেলে ভাড়া ২০ টাকা, আর অটোতে ১০ টাকা। তাই অটোর জন্যই দাঁড়িয়ে ছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলাম না

পাশেই অনেকগুলো রিক্সা দাঁড় করানো।

তাদের মাঝে একজন বলল -

রিক্সাওয়ালা- ভাইয়া যাবেন ? চলেন।

আমি- না।

রিক্সাওয়ালা- একটু অপেক্ষা করে আবার ডাক দিয়ে বলে ভাইয়া চলেন।

আমি- (একটু বিরক্ত হয়ে) বল্লামনা যাব না।

রিক্সাওয়ালা - আপনি ১০ টাকাই দিয়েন। চলেন।

আমি - তাকিয়ে লোকটা কে একটু ভালোভাবে দেখলাম। খারাপ কিছু মনে হয় নি। তাই উঠে পড়লাম।

নামলাম, ভাড়া দিলাম, তারপর একটা দোকানে ঢুকে গিয়েছি। কিছুক্ষন পর বের হয়ে দেখি রাস্তার ঐ পাশে রিক্সাওয়ালা মামা টা। ফুল কিনছে.. হাতে দুইটা বিরিয়ানির প্যাকেট। আমি কেন জানি ওনার পাশে চলে গেলাম। গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ওনি আমাকে দেখতে পেয়ে একটা হাসি দিল।

আমি- মামা ফুল কার জন্যে ?

রিক্সাওয়ালা- আপনের ভাবীর লাইগ্যা। আইজকা বিবাহবার্ষিকী।

আইজকা আর ভাড়া মারতাম না,বাসায় চইল্লা যামু।

১৬০ টাকা লাগতো। আমার কাছে ১৫০ ছিল। এরলাইগ্যা আপনেরে ১০ টাকা দিয়াই নিয়া আইছি।

আমি- মিরপুর যাবেন ?

রিক্সাওয়ালা - না, আইজকা আর ভাড়া মারতাম না।।

আমি- আরে চলেন মামা, আপনাকে ১০ টাকা বাড়াই দিব। এইটা বলেই আমি ওনার রিক্সায় বসে পড়েছি।

ওনি ও আর না করে নাই। নিয়ে আসছে মিরপুর।

আসার পথে

আমি- আজকে শুধু ১৬০ টাকাই ভাড়া মারছেন?

রিক্সাওয়ালা- না, আরো বেশি। মালিক রে টাকা দিতে হইবো। ওইটা বাদ দিয়া ১৬০ টাকা।

আমি- ভাবী রে কি প্রতি বছর ই ফুল দেন ?

রিক্সাওয়ালা - হ্যাঁ। ১২ বছর ধইরা দেই। বছরে দুইবার। একদিন বিবাহবার্ষিকী কে। আরেক দিন হইলো এপ্রিল এর ২ তারিখ। ওইদিন আমার মাইয়া হইছে। আমরার প্রথম সন্তান। খালি বিয়ার ১ম বছরে দিতে পারি নাই। তহন বেকার ছিলাম। হাতে কোনো কাম ছিল না।

আমি- বয়স কত আপনার মেয়ের ?

রিক্সাওয়ালা - ৯ বছর।

রিক্সা থেকে নেমে ওনাকে ১০০ টাকার দুইটা নোট দিয়ে বলেছি এইটা দিয়ে ছোট দেখে একটা কেক ও নিয়ে যাইয়েন। দোকানদারকে বইলেন কেক এর উপরে লিখে দিতে - শুভ বিবাহবার্ষিকী।

ওনি একদম চুপচাপ হয়ে অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়েছিল।

তার থেকেও বেশি অবাক ছিলাম আমি।

ওনার প্রত্যেকটা কথা অবাক হয়ে শুনছিলাম।

কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ মনে পড়লো আরে আমার ব্যাগে তো মোমবাতি আছে। ওনাকে একটা মোমবাতি দিলে ভালো হতো।

তারপর মনে হলো - ভালোই করেছি মোমবাতি না দিয়ে। মোমবাতি দিলে তো ওরা ঐটা ফু দিয়ে নিভিয়ে দিত। এই ভালোবাসা না নিভুক। এমন ভালোবাসা গুলো জ্বলতে থাকুক বারো বছর, চব্বিশ বছর,শত বছর, হাজার বছর ধরে।

অনেক কেই তো দেখি নিজের সন্তান এর জন্মদিন পালন করতে। কিন্তু সেই সন্তান কে যেই মা পৃথিবীতে এনেছে সেই মাকে সন্তানের প্রতি জন্মদিনে কয়জনই বা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়..................

সত্যিকারের ভালোবাসা গুলা হয়তো এমনি হয়।


 

পুরনো এক ইচ্ছে.....!

পুরনো এক ইচ্ছে.....!



৯০ দশকের এক তরুনী হলে বেশ হতো। বেনী দুলিয়ে শাড়ি পাট পাট করে পড়ে ক্লাসে যেতাম। গাঢ় করে কাজল দিয়ে হালকা করে পাউডার দিতাম। পাউডারটা শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতাম যাতে পাউডার দিয়েছি বোঝা না যায়। মাথায় হালকা সুগন্ধি তেল থাকতো হয়ত। বেল্টের কালো ঘড়ি থাকতো। আর হয়ত থাকতো ঝোলা ব্যাগ কিংবা হাতেই না হয় নিতাম বই-খাতা।

আমার এক পছন্দের বান্ধবী থাকতো মাঝেমাঝে ল্যান্ডফোনে ফোন দিতো। রাখতেই চাইতাম না ফোন। অনেকটা সময় কথা বলতাম আর হাসাহাসি করতাম। ক্লাসের লাজুক ছেলেটা হয়ত তাকে একটা চিঠি দিয়েছে চিঠির বানান ভুল নিয়ে হয়ত আমি হাসতাম। আর আমার বান্ধবী বলতো, 'হাসিস না তো...ছেলেটা বড্ড ভালো!' আমি বলতাম, 'কচু! তাহলে রাজি হয়ে যা!' কথা বলার ফাঁকে বাবা পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে গলা নামিয়ে ফিসফিস করে কথা বলতাম।

আমার একজন হয়ত প্রেমিক থাকলেও থাকতে পারতো। হয়ত আমাকে মাঝেমাঝে চিঠি পাঠাতো। চিঠি পড়তে পড়তে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইতো। আমার হাত-পা কাঁপতো। বেশি না চিঠিতে হয়ত শুধু লেখা থাকতো, 'রাত্রি কেমন আছো? আমার আজ মন ভালো নেই। তোমাকে গতকাল লাইব্রেরীতে দেখলাম।বেশ রোগা হয়ে গেছো। নিজের যত্ন নিও। তোমার দেওয়া লাইটারটা হারিয়ে ফেলেছি। মন খারাপ করো না। ভালো থেকো।' হাজার খানেকবার চিঠিটা পড়তাম।তারপর চিন্তা করতাম। কোথায় লুকিয়ে রাখবো এটাকে। আমার হয়ত একটা বাক্স থাকতো। সব চিঠি জমতো সেখানে। হয়ত আমি সেলাই করতাম। এই মনে করেন "ভুলো না আমায়" কিংবা "মনে রেখো" টাইপ কিছু।

বাবা অফিস থেকে আসলে খুব যত্ন করে চা বানিয়ে দিতাম, সাথে নিমকি। অবসরে সুনীল কিংবা শীর্ষেন্দুর বই নিয়ে মেঝেতে আঁচল বিছিয়ে শুয়ে শুয়ে পড়তাম। রেডিও শুনে শুনে হৈমন্তী শুক্লার গানগুলো গলায় তুলতাম। মদীনাবাসী প্রেমে ধর হাত মম শুনে চোখে পানি চলে আসতো...

আমার নব্বই দশকের এক তরুনী হতে ইচ্ছে করে, ভেজা চুলে গামছা পেঁচিয়ে বারান্দায় দাঁড়াতে ইচ্ছে করে। সাদা নীল আকাশ দেখতে ইচ্ছে করে। এই সময়টা আমার ভালো লাগে না। নীল সাদা ফেসবুকে আকাশের ছায়া দেখতে একদমই ভালো লাগে না...

~Sabrina Nusrat Reza Tushi

pc:- shahed ahamed siam

বাস্তবতা...!

বাস্তবতা...!

 

একটা মেয়ে তার bf কে জিজ্ঞেসা করলোঃ ....আচ্ছা অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেলে তুমি কি করবে?

....ছেলেটা উত্তর দিলো, ভুলে যাবো।

ছেলেটার উত্তর শুনে মেয়ে টি রাগে অন্য দিকে মুখ ঘোরালো। 

ছেলেটি আবার বললঃ ...তুমিও আমাকে ভুলে যাবে, এটা সবচেয়ে বড়কথা । আমি যত দ্রুত তোমাকে ভুলে যাবো। তার চেয়েও বেশি দ্রুত তুমি আমাকে ভুলে যাবে। 

প্রেমিকা প্রশ্ন করলোঃ .... কি রকম ? 

ছেলেটি বলতে শুরু করলঃ " মনে করো বিয়ের প্রথম তিন দিন তুমি এক ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকবে । শরীরে গয়নার ভার, মুখে মেক আপএর প্রলেপ, চারেদিক থেকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, মানুষের ভিড়।তুমি চাইলেও তখন আমার কথা মনে করতে পারবে না। আর আমি তখন তোমার বিয়ের খবর পেয়ে হয়ত কোন বন্ধুর সাথে উল্টা পাল্টা কিছু খেয়ে পরে থাকবো। আর একটু পর পর তোমাকে হৃদয় হীনা বলে গালি দিবো। আবার পর ক্ষনেই পুরাতন স্মৃতির কথা মনে করে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো। বিয়ের পরের দিন তোমার আরো ব্যস্ত সময় কাটবে। স্বামী আর মিষ্টির প্যাকেট, এই দুটো হাতে নিয়ে তুমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় ঘুরে বেড়াবে। আমার কথা তখন তোমার হঠাৎ হঠাৎ মনে হবে।এই যেমন স্বামীর হাত ধরার সময়, এক সাথে রিক্সায় চড়ার সময়।আর আমি তখন ছন্ন ছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াব। আর বন্ধুদের বলবো, বুঝলি দোস্ত, জীবনে প্রেম ভালোবাসা কিছুই নাই। "পরের এক মাসে তুমি হানিমুনে যাবে, নতুন বাসা পাবে, শপিং, ম্যাচিং,শত প্লান, আর স্বামীর সাথে হালকা মিষ্টি ঝগড়া। তখন তুমি বিরাট সুখে, হঠাৎ আমার কথা মনে হলে ভাববে, আমার সাথে বিয়ে না হয়ে বোধ হয় ভালোই হয়েছে। আমি তত দিনে বাপ, মা, বন্ধু কিংবা বড় ভাইয়ের ঝাড়ি খেয়ে মোটা মোটি সোজা হয়ে গিয়েছি। ঠিক করেছি কিছু একটা করতে হবে, তোমার চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করে তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে। সবাই কে বলবো, তোমাকে ভুলে গেছি। কিন্তু তখন ও মাঝ রাতে তোমার এস এম এস গুলো বের করে পড়বো আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ব। পরের দুই বছর পর তুমি আর কোন প্রেমিকা কিংবা নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো। পুরাতন প্রেমিকের স্মৃতি, স্বামীর আহ্লাদ, এসবের চেয়েও বাচ্চার ডায়াপার, পিটার এসব নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকবে। অর্থাৎ তখন আমি তোমার জীবন থেকে মোটা মুটি পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে যাবো। এদিকে আমিও একটা কাজ পেয়েছি। বিয়ের কথা চলছে।মেয়েও পছন্দ হয়েছে। আমি এখন ভীষণ ব্যাস্ত। এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে গিয়েছি। শুধু রাস্তা ঘাটে কোন কাপল দেখলে তোমার কথা মনে পড়বে।কিন্তু তখন আর দীর্ঘশ্বাসও আসেবে না। 

এত দূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখলো প্রেমিকা ছলছল চোখ নিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে। মুখে কোন কথা নেই। ছেলেটিও চুপচাপ। 

একটু পর প্রেমিকা বললোঃ তবে কি সেখানেই সবশেষ? 

ছেলে টি বলল, না।

কোন এক মন খারাপের রাতে তোমার স্বামী নাক ডেকে ঘুমুবে। আমার বউও ব্যস্ত থাকবে নিজের ঘুম রাজ্যে। শুধু তোমার আর আমার চোখে ঘুম থাকবে না।সেদিন অতীত আমাদের দুজনকে নিঃশ্বদেহে কাঁদাবে। সৃষ্টি কর্তা ব্যাতিত যে কান্নার কথা কেউ জানবে না, কেনো না এটাই বাস্তবতা......!!!


                                               Facebook Post by shaikh

                                              সূত্রঃ ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত


ইউ টিউব ভিডিও 

Wednesday, September 16, 2020

ছেলেদের কখনো দায়িত্ববোধ শেখাতে হয় নাহ...!

 ছেলেদের কখনো দায়িত্ববোধ শেখাতে হয় নাহ..!



ছেলেদের কখনো দায়িত্ববোধ শেখাতে হয় নাহ.! হুম ; একটা ছেলে যতই কেয়ারলেস থাকুক না কেনো?

_ রাস্তা পাড় হওয়ার সময় তোমাকে তার বামপাশে দিতে ভুলবে নাহ..

_তোমার গায়ে রোদ পরবে বলে; ওর মাথা টা রিক্সায় ঠেক খেলেও কখনো হুড তুলতে ভুলবে না..

_ তোমাকে রিক্সায় তুলে দিয়ে হয়ত ঠিক মতন বাই বলবে নাহ কিন্তু মামা সাবধানে নিয়ে যায়েন ঠিকি বলবে..

_ অহ হ্যা রিক্সা ভাড়া আছে তো! জিজ্ঞেস করতে ভুলে নাহ.. উলটো থাকলেও দিয়ে দিবে.

_ তুমি কেমন সেজেছো হয়ত এত একটা প্রশংসা করে নাহ কিন্তু চোখের নিচে কালি পড়েছে তোমার এইটা বলতে দ্বিধা করবে নাহ.. আর রাত জাগতে দিবো নাহ বলে কড়া শাসন করবে..

_ তুমি কোথাও খেতে যাওয়ার আবদার করো পকেটে টাকা না থাকলেও জোগাড় করে এসে হাজির হয়ে বলবে চলো..

_ তোমার কাছ থেকে চলে আসার পর বাসায় যাওয়ার ভাড়া না থাকলেও তোমাকে বুঝতে দিবে না যদি টেনশন করো! বাসে ঝুলে ঝুলে হেটে বাসায় পৌছাবে. তুমি ফোন দিয়ে যদি জিজ্ঞেস করো এত্ত দেরি হলো কেন ফিরতে উত্তর টা সুন্দর হবে এক কথার.. রাস্তায় জ্যাম ছিলো.!

_ তোমার ধারণা ও মন দিয়ে তোমার কথা শুনে নাহ ;; অনেক ক্ষণ পক পক করার পর সুন্দর রিপ্লে দিবে হুম.. কিন্তু তোমার কোনটা কাদো ভয়েস আর কোনটা ঠাণ্ডা লেগে নাক বসেছে সেটা তো ঠিকি বুঝে ফেলে..

_ তুমি বিপদে পরো ; দেখবে পাঠাও উবার যাই সামনে পাবে ওনি উড়ে উড়ে এসে হাজির যদিও এই মানুষটির এনিভারসেরি মনে থাকে নাহ..

কেয়ারলেস ছেলেটিই কোনো না কোনো ভাবে তোমার প্রয়োজনের প্রয়োজন ;

আর হ্যা তুমি কিন্তু তার জীবনে তৃতীয় নারী ; এর আগে মা আর বোনের দায়িত্ব নিয়ে শিখেছে.. এই সুপ্ত শিক্ষা কোনো ছেলেকে শিখাতে হয় নাহ.!

আর এখন তুমিই তার প্রথম দায়িত্ব

লেখাঃ নাফিসা

ছবিঃ unknown

সূত্রঃ ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত 

শিক্ষনীয় গল্প....!

 

শিক্ষনীয় গল্প ....!

একবার এক রাজা তার তিন মন্ত্রীকে ডেকে বললেন, এই নাও তোমাদের একটা করে খালি বস্তা দিলাম।

তোমাদের কাজ হবে বনে গিয়ে বিভিন্ন ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভরে নিয়ে আসবে, দেখি কে কত তাড়াতাড়ি বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে আসতে পার। রাজার নির্দেশমত তিন জন চলে গেলেন জঙ্গলে।

১ম মন্ত্রী চিন্তা করলো, রাজা বলেছেন তাই ভালো ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা পূর্ণ করি এবং সেই মত জঙ্গলের ভালো ফল দিয়ে বস্তা ভরে ফিরে আসল।

২য় মন্ত্রী চিন্তা করলো, রাজা তো সব ফল দেখবেন না তাই হাবিজাবি পচা ফল দিয়ে সে নীচের দিকে পূর্ণ করে, উপরের দিকে শুধু কিছু ভালো ফল দিয়ে বস্তা পূর্ণ করলো এবং ফিরে আসল।

৩য় মন্ত্রী চিন্তা করলো, রাজার এত সময় কোথায় বস্তা খুলে খুলে দেখবে, সে শুধু দেখবে বস্তা পূর্ণ হয়েছে কিনা। জঙ্গলে মরা পাতা, ঘাস, কাঠ দিয়ে বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে এলো ।

তিন মন্ত্রী রাজার দরবারে হাজির, রাজা সবার বস্তা পূর্ণ দেখে খুশী হলেন।

তিনি বস্তাগুলো খুলেও দেখলেন না।

৩য় মন্ত্রী নিজের বুদ্ধির কথা চিন্তা করে নিজেকে বেশ বুদ্ধিমান মনে করতে লাগলো।

রাজা একটু সময় নিয়ে তার মসনদে বসলেন এবং ঘোষণা করলেন, এই তিন মন্ত্রীদের তাদের বস্তা সহ ৭ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হোক এবং প্রত্যেককে তিনটা আলাদা আলাদা কক্ষে রাখা হোক।

এই সাত দিন তাদের কোন প্রকার খাবার দেয়া হবে না।

যেই কথা সেই কাজ,

তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হলো।

১ম মন্ত্রী এই সাত দিন তার বস্তার ফল গুলো খেয়ে কাটিয়ে দিলেন।

দ্বিতীয় মন্ত্রী তার যত ভালো ফল ছিল ২ দিন খেতে পারলো, বাকী দিন পচা ফল খেয়ে কাটানোর চেষ্টা করলো কিন্তু তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন।

৩য় মন্ত্রীর বস্তায় কোন ফল ছিলোনা তাই তিনি না খেতে পেরে কারাগারেই মারা গেলেন ।

এই গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় হলো-

যদি আমরা ফাঁকি না দিয়ে সঠিকভাবে শিখে, বুঝে পড়ালেখা করে বড় হই তবে এর ফল আমরা যখন কর্মক্ষেত্রে যাবো তখন এর ফল ভোগ করতে পারবো ।

"কাউকে ফাঁকি দেয়া মানে নিজেকে ফাঁকি দেয়া, কাউকে উপদেশ দেয়া মানে নিজেকে উপদেশ দেয়া!"

 


সূত্রঃ ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত

ভালবাসা রং বদলায়।



  • সুবর্ণা মুস্তফার সাথে একবার হুমায়ুন ফরিদীর প্রচণ্ড ঝগড়া হলো, রাগ করে সুবর্ণা অন্য রুমে গিয়ে দরজা আটকে শুয়ে পড়লেন।

সুবর্ণা সকালে উঠে দরজা খুলে দেখেন, যেই রুমে ঝগড়া হয়েছিল, সেই রুমের মেঝে থেকে ছাদের দেয়াল পর্যন্ত একটি কথাই লিখে পুরো রুমকে ভরে ফেলা হয়েছে, কথাটি হল- 'সুবর্ণা, আমি তোমাকে ভালোবাসি'।এতো ভালোবাসাও তাদের বিচ্ছেদ ঠেকাতে পারেনি, ২০০৮ সালে ডিভোর্স হয়। কারণ ভালোবাসা রং বদলায়..!

  • জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন- 'প্রেম ধীরে মুছে যায়; নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।'

এই জীবনানন্দকে একবার দেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে লাবণ্যপ্রভা। সাহিত্যের ছায়া থেকে একশ হাত দূরে থেকেও সাহিত্যের ইতিহাসে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এই লাবণ্য। সেও কিছুকাল পরে টের পায় তার স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে। মুক্তির জন্য ছটফট করতে থাকে। দুর্বিষহ হয়ে উঠে দুজনের জীবন। প্রেম সত্যি একসময় মুছে যায়।

  • গুলতেকিন নামের ক্লাস টেনের সেই কিশোরী হুমায়ুনের প্রেমে অন্ধ হয়ে বিয়ে করে ফেলে। বিয়ের পরে সে জানতে পারে যে লেখক হুমায়ুন আহমেদ মানুষ হিসেবে খুবই সাধারণ। বাস্তব জীবনে সে চাঁদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে না, কবিতা আওড়ায় না। তার মধ্যে আলাদা কিছু নেই। সে আর দশটা মানুষের মতোই সাধারণ। স্বপ্ন ভঙ্গের মতো ব্যাপার" গুলতেকিন বারবার বলতে থাকে- 'তোমার লেখাই ভালো, অন্যকিছু ভালো না।'

আসলেই ভালোবাসা রং বদলায়!

  • নন্দিতা রায়ের 'বেলাশেষে' সিনেমায় এই কঠিন ব্যাপারটা খুব সহজভাবে বুঝানো হয়েছে-

'হাতের ওপর হাত রাখা খুব সহজ,

সারাজীবন বইতে পারা সহজ নয়!'

সহজ না হওয়ার কারণ ঐ একটাই-

'ভালোবাসা রং বদলায়' 

আসলে প্রেম ভালবাসার সহজলভ্যতার এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বিরল দুটি জিনিস-

"মনের মানুষ" এবং "মানুষের মন"।

এই দু'টোর উপর বিশ্বাস থাকা ভাল এবং উচিতও বটে। তবে সেটা কেবলই নিজের মধ্যে। কখনোই এগুলো নিয়ে অতি আত্মবিশ্বাসী বড়াই দেখানোও উচিত নয়।

কারণ হাওয়ার দিক পরিবর্তন হয়ে কখন কোনদিকে বয়ে যায় সেটা সর্বদাই অনিশ্চিত। হোক সেটা প্রকৃতির হাওয়া অথবা মনের।

আসলেই ভালবাসা রং বদলায়।

সূত্রঃ ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত 

ছেলেরা কখনোই ভালোবাসার ব্যাখ্যা দিতে পারে না...!!❤

 ছেলেরা কখনোই ভালোবাসার ব্যাখ্যা দিতে পারে না ...!

 


একটা ছেলে কখনোই তার সত্যিকার ভালোবাসার ব্যাখ্যা দিতে পারে না,

সবসময়ই প্রিয় মানুষটির মতো করে চলতে চায়, তার আপন হতে চায়,

তার হাসির কারন হয় বা না বলা কথা গুলো বলার আগেই করে দেয়,

বারবার বুঝানোর চেষ্টা করে কতটা ভালোবাসে তাকে,

কিন্তু মুখে প্রকাশ করতে পারে না  

অন্তরে চাপা রাখে নিজের ভালোবাসা

প্রিয় মানুষটির থেকে বারবার বহুভাবে কষ্ট আঘাত পেলেও তার কাছেই ছুটে যায় 

ছেলেদেরও অভিমান হয় , রাগ হয় তার ভালোবাসার মানুষটির ওপর 

কিন্তু একটি মেয়ে যেমন হুট করেই তার রাগটা ঝেরে ফেলে, ছেলেরা তা পারে না

কারন একটাই যদি ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলে  

যদিও সে আপনাকে রাগের মাথায় কিছু বলে ফেলে করা ভাবে শাসন করে ভাব্বেন না সে আপনাকে ঘৃণা বা ক্ষোভে এমন করছে,

ছেলেটি তার অধিকার থেকে এমন করে কারন সে আপনার ভালো চায় প্রচন্ড ভালোবাসে আপনাকে 

একটা ছেলে যদি কাউকে মন থেকে একবার ভালোবাসে, সে কোনও কিছুর বিনিময়েই তাকে হারাতে চায় না  

তাই নিজের প্রিয় মানুষটিকে বুঝতে শিখুন, রাগ ঝগড়ায় দূরে সরিয়ে নয় ভালোবেসে কাছে টেনে নিন, দেখবেন আপনাদের চেয়ে সুখী আর কেউ নেই

 

Writing : Shabnur

সূত্রঃ ইন্টানেট/ফেসবুক

 

স্যার কে আজও মিস করি…….

 স্যার কে আজও মিস করি…….





 আফজাল স্যার ও আল হাদী এক সাথে

ময়মনসিংহ  জেলার এক সুউচ্চ ভবনে আফজাল সাহেবের বাস। তিনি মূলত ছাত্র হলেও পাশাপাশি একটি বেসরকারী কোচিং সেন্টারে পড়ান।যদিও সেটা তার পেশা নয় শুধুমাত্র শখের বসেই বলা চলে।উপযুক্ত খাদ্যাভাবে যেমন শরীর থাকে না তারও সেই অবস্থা সারাদিন খায় আর খায় কিন্তু শরীরে আট আনাও নেই।শরীরের গঠন যাই হোক না কেন দেখতে অনেক লম্বা মোটামুটি স্মার্ট ও বলা চলে।সিমসাম গড়নের, মুখে কিছুটা দাড়ি আছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েন এক কথায় ধাম্রিক বলা যায়। বেশি লম্বা হওয়ার কারণে তার এক ছাত্রীতো তাকে তালগাছ ভাইয়া বইলাই ডাকে।স্যার বলতে আমরা সাধারণত একটু বেশী বয়সের মানুষকেই বুঝি ‍কিন্তু তার বয়স তো এখনো উনিশ তাইতো অনেকে কোচিং ছাইড়া চইলা যাওয়ার পর ভাইয়া বইলাও ডাকে।এ রকম একজন যুবক স্যারের মনে ভালবাসা থাকবেনা তা কি কখনো হয়? যদিও আজও তার জীবনে ভালবাসার মানুষের মতো করে কেউ আসেনি।শিক্ষক ছাত্রীর ভালবাসা যে না পাওয়ার ভালবাসা সেটা তিনি জানেন। তারপরও অনেক ছাত্রীর পাগলামী তিনি না রেখে পারেন না।গতবার তার এক ছাত্রী তো তার জন্য হাতের অনেকটা অংশই কেটে ফেলেছিল। তার জন্য পড়ানিটা মোটামুটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম ও হয়েছিল। কিন্তু শখের কাজ কী কখনো ফেলা যায়, তাইতো আবার এই পথেই রয়ে গেছেন তিনি।হয়তোবা পড়ানিটা বাচাঁনোর জন্যই কারও কারও আহ্বানে  যে তার সারা দিতেই হয়।

তার মতো স্যার আর কখনো দেখিনি আমি।ছেলেদের যদিও কখনো প্রহার করতেন, মেয়েদের একেবারেই করতেন না।যদিও আমি কখনো তার কাছে প্রহারিত হয়নি। তাকে মোটামুটি অলরাউন্ডার স্যার বলা যায় যদিও তিনি গণিত ভাল পড়ান, আমাদের সব বিষয়ের ক্লাসই তিনি নিয়েছেন।এজন্য যদিও অনেকে তাকে মজা করে আন্ডারাউন্ডার স্যার বলে ডাকেন কিন্তু এতে তার  কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

স্যার আজও আপনার হাসিটাকে অনেক মিস করি, আমার লাইফে আজও আপনার মত হাসিখুশি মানুষ পাই নি।মিস ইউ স্যার….



প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে ছিল তার ছবি।।


" তুমি কাছে না থাকায় "

 

 " তুমি কাছে না থাকায় "

Al HAdi

তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে নদীর পাড় ভাঙার মতো শব্দ শুনি, কাঁচ যেমন ভাঙে যায় তেমন বুকের মধ্যে ভাঙ্গতে শুরু করে; তুমি যখন বল ফোন রেখে  দেই আর কখনো ফোন দিব না আর কখনো ডিস্টাব করবো না তখন -আমি আমার দুই চোখে কিছুই দেখি না। এর নাম তোমার বিদায় । তোমাকে আরেকটু কথা বলতে বলতেই যখন তুমি বলো, পারবো না । সঙ্গে সঙ্গে সব মাধবীলতার ঝোপ ভেঙে পড়ে; তুমি ফোন রেখে দেওয়ার জন্য যখন বলো Bye- রাখি,  খোদা হাফেজ। তৎক্ষণাৎ মনে হয় পৃথিবীর আরো কিছু বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যায়, আমি স্তব্ধ হয়ে যাই,  মুখ তার ভাষা হারিয়ে ফেলে, তখন আর কিছুই বলার থাকে না ।- তুমি যখন ফোন রেখেই দাও, তখন  আমি কেবল শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই দেখি না। আমার প্রিয় গ্রন্থগুলির সব পৃষ্ঠা কালো কালিতে ঢেকে যায়। সত্যি তুমি কাছে না থাকায় আমি দিন দিন অমানুষ হয়ে উঠতেছি। আশেপাশে সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেছি । মানুষ ও প্রকৃতির দিকে চেয়ে আমার হিংসা বোধ হচ্ছে । কোনো কিছুই আমাকে আকর্ষণ করতেছে না। একে একে সকাল দুপুর সারাদিন সব নষ্ট হচ্ছে । কোনো কিছুই করতে পারছি না আমি, বড়ো দুঃসময় যাচ্ছে আমার , মনে হয় সর্বত্র বন্ধুবিহীন ভাবে বাস করতেছি । আজ এই ময়মনসিংহ  শহরকে  ভীষণ রুক্ষ মনে হচ্ছে। কাউকে ডাকলে সাড়া দেয় না, সবাই আমার বিরুদ্ধাচরণ করছে । এই হোস্টেলের সবাইকে  সম্পূর্ণ আমার অপরিচিত মনে হচ্ছে । নিজেকেই নিজের অচেনা লাগতেছে,  মনে হয় দীর্ঘ দিন থেকে আমি যেন কোনো অজ্ঞাত অসুখে ভুগছি। তুমি না থাকায় বাস্তবিক আমি বড়ো কষ্টের মধ্যে পড়ে গেছি ,বড়োই কষ্ট হচ্ছে !!!


- আল হাদী