স্যার কে আজও মিস করি…….
স্যার কে আজও মিস করি…….
ময়মনসিংহ জেলার এক সুউচ্চ ভবনে আফজাল সাহেবের বাস। তিনি মূলত ছাত্র হলেও পাশাপাশি একটি বেসরকারী কোচিং সেন্টারে পড়ান।যদিও সেটা তার পেশা নয় শুধুমাত্র শখের বসেই বলা চলে।উপযুক্ত খাদ্যাভাবে যেমন শরীর থাকে না তারও সেই অবস্থা সারাদিন খায় আর খায় কিন্তু শরীরে আট আনাও নেই।শরীরের গঠন যাই হোক না কেন দেখতে অনেক লম্বা মোটামুটি স্মার্ট ও বলা চলে।সিমসাম গড়নের, মুখে কিছুটা দাড়ি আছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েন এক কথায় ধাম্রিক বলা যায়। বেশি লম্বা হওয়ার কারণে তার এক ছাত্রীতো তাকে তালগাছ ভাইয়া বইলাই ডাকে।স্যার বলতে আমরা সাধারণত একটু বেশী বয়সের মানুষকেই বুঝি কিন্তু তার বয়স তো এখনো উনিশ তাইতো অনেকে কোচিং ছাইড়া চইলা যাওয়ার পর ভাইয়া বইলাও ডাকে।এ রকম একজন যুবক স্যারের মনে ভালবাসা থাকবেনা তা কি কখনো হয়? যদিও আজও তার জীবনে ভালবাসার মানুষের মতো করে কেউ আসেনি।শিক্ষক ছাত্রীর ভালবাসা যে না পাওয়ার ভালবাসা সেটা তিনি জানেন। তারপরও অনেক ছাত্রীর পাগলামী তিনি না রেখে পারেন না।গতবার তার এক ছাত্রী তো তার জন্য হাতের অনেকটা অংশই কেটে ফেলেছিল। তার জন্য পড়ানিটা মোটামুটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম ও হয়েছিল। কিন্তু শখের কাজ কী কখনো ফেলা যায়, তাইতো আবার এই পথেই রয়ে গেছেন তিনি।হয়তোবা পড়ানিটা বাচাঁনোর জন্যই কারও কারও আহ্বানে যে তার সারা দিতেই হয়।
তার মতো স্যার আর কখনো দেখিনি আমি।ছেলেদের যদিও কখনো প্রহার করতেন, মেয়েদের একেবারেই করতেন না।যদিও আমি কখনো তার কাছে প্রহারিত হয়নি। তাকে মোটামুটি অলরাউন্ডার স্যার বলা যায় যদিও তিনি গণিত ভাল পড়ান, আমাদের সব বিষয়ের ক্লাসই তিনি নিয়েছেন।এজন্য যদিও অনেকে তাকে মজা করে আন্ডারাউন্ডার স্যার বলে ডাকেন কিন্তু এতে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
স্যার আজও আপনার হাসিটাকে অনেক মিস করি, আমার লাইফে আজও আপনার মত হাসিখুশি মানুষ পাই নি।মিস ইউ স্যার….
No comments